পোস্টগুলি

স্বপ্ন নিয়ে জানা অজানা যত তথ্য

ছবি
আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি। কিছু স্বপ্ন আমরা মনে রাখি, কিছু স্বপ্নের মানে খুঁজি, আবার কখনো বাস্তবের সঙ্গে মেলাতেও চেষ্টা করি। • আসুন স্বপ্ন নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য জেনে নেই. . . • • আমরা মনে করি স্বপ্ন নাকি সাদা-কালো হয়। কিন্তু এ ধারণাটা মোটেই ঠিক না। শতকরা মাত্র ১২ ভাগ লোক সাদা-কালো স্বপ্ন দেখেন। বাকিদের স্বপ্নে ধরা দেয় নানা রং। আমরা যে স্বপ্ন দেখি তার অধিকাংশই হারিয়ে ফেলি বা ভুলে যাই। তবে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় যদি আপনি কোনো স্বপ্ন দেখেন তাহলে তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় সবই আপনার মনে থাকবে। সাধারণত ভোরের স্বপ্নগুলো এমন হয়। এমন মানুষ খুব কমই আছেন যারা রাতে মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একজন মানুষ প্রতিরাতে পাঁচ থেকে সাতটি স্বপ্ন দেখেন। কখনো কখনো তা ডজনও ছাড়িয়ে যায়। স্বপ্ন নিয়ে আরেকটি মজার তথ্য হলো- তিন বছরের নিচে কোনো শিশু স্বপ্ন দেখে না। আর তিন থেকে আট বছরের শিশুরা যে স্বপ্ন দেখে তার বেশির ভাগই দুঃস্বপ্ন। আপনি কি জানেন? অন্ধরাও স্বপ্ন দেখেন। যারা জন্মান্ধ নয়, জন্মের পর কোনো কারণে অন্ধ হয়ে গেছেন তাদের স্বপ্ন দৃশ্যযোগ্যই হয়। স্বপ্নে আ

ফুটবল খেলার আদি ইতিহাস

ছবি
ফুটবল বিশ্বকাপ চার বছর পর পর ফুটবল প্রেমীদের কাছে আসে।তাই এই নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই।পতাকা বানাও, সাপোর্ট কর, খেলা দেখ আরও কত কি।সারা বিশ্বেই চলে এই উম্মাদনা।কিন্তু আমারা যারা ফুটবলকে ভালবাসি, মনে ধারন করি তারা অনেকেই জানেন না এই খেলার আদি উৎপত্তি কোথায় বা প্রাচীন যুগে ফুটবল কারা খেলত বা আদৌ কেউ খেলত কিনা বা এই "ফুটবল" প্রাচীন থেকেই এমন ছিল কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ধারনা করা যায় ফুটবল খেলা প্রথম শুরু করেছিল গ্রিক এবং রোমান সম্প্রদায় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০ সালের দিকে। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানরা বল দিয়ে বিভিন্ন রকমের খেলা খেলত, তার মধ্যে কিছু কিছু খেলা পা ব্যবহার করে খেলত। রোমান খেলা  Harpastum   এসেছে গ্রিক খেলা Episkyros থেকে যা গ্রিক নাট্যকার   Antiphanes (388–311 BC) এবং পরে ক্রিস্টিয়ান দার্শনিক Clement of Alexandria (c.150-c.215 AD) তাদের বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ করেছেন।এই খেলাটা রাগবি ফুটবল খেলার মত ছিল।রোমান রাজনীতিবিদ Cicero (106–43 BC) বর্ণনা করেছেন ঐ খেলার সময় একজন মানুষ নাপিতের দোকানে সেভ হওয়ার সময় বলের আঘাতে মারা গিয়েছিলেন।ঐ বল গুলো বাতাস দ

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেন ইঁদুর ব্যবহার করা হয়???

ছবি
মানুষের কোন সমস্যা বিশেষ করে শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য মানুষ বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে। মানুষ বৈজ্ঞানিক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিজের প্রশ্নের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করে। জৈব পরীক্ষার জন্য জীবিত প্রাণী প্রয়োজন হয়। আর এই পরীক্ষার আশানুরূপ ফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত ‘সাবজেক্ট’ হিসেবে কাজ করতে পারে এমন কোন জীবন্ত প্রাণীকেই পছন্দ করা হয়। বৈজ্ঞানিক এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোন মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলার জন্য রাজী করানোটা খুব কঠিন। কিন্তু মানুষের পরিবর্তে কোন প্রাণীকে নেয়া যায়? হাঁ আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন, সেই প্রাণীটি হল ইঁদুর। আপনি কি কখনো চিন্তা করে দেখেছেন যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেন ইঁদুরকেই পছন্দ করা হয়? কারণ গুলো জেনে নেই আসুন। ১। যৌক্তিক কারণ ইঁদুর ছোট প্রাণী। এদেরকে খুব সহজেই পরিচালনা ও পরিবহণ করা যায় এবং পরীক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করে। কল্পনা করে দেখুন একটি জিরাফ বা একটি হাতিকে ইনজেকশন দেয়ার কথা। সম্ভবত এটা খুব একটা সহজ হবেনা ক্ষুদ্র ইঁদুরের তুলনায়। এছাড়া ইঁদুর তুলনামূলক ভাবে নিরীহ প্রাণী। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় প্রাণীটিকে বিভ

ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরে কেন?????

ছবি
টিকটিক শব্দ করে ঘোরে ঘড়ির কাঁটা। কোনদিকে ঘোরে, আমরা তো সবাই দেখি—ডান দিকে! কিন্তু কখনো কি ভাবনায় এসেছে, কেন ডান দিকেই ঘোরে? বাঁ দিকে ঘুরলেই বা কী এমন সমস্যা? যদি নাই হয়, তাহলে ঠিক কী কারণে ঘড়ির কাঁটা কেবল ডান দিকেই ঘোরে? সবচেয়ে প্রাচীন যে ঘড়িগুলো, সেগুলোতে কিন্তু কাঁটার ঘোরাঘুরির কোনো বিষয় ছিল না। হ্যাঁ, সূর্যঘড়িই হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘড়ি। এই সূর্যঘড়িও কিন্তু অনেক রকমের ছিল। সবচেয়ে প্রাচীন সূর্যঘড়ি বলা হয় মিসরীয়দের ওবেলিস্ককে। ধারণা করা হয়, মিসরীয়রা এই ঘড়ি বানানো শিখেছিল খ্রিস্টের জন্মেরও সাড়ে তিন হাজার বছর আগে। এ রকম আরেকটা ঘড়িকে বলা হয় ‘শ্যাডো ক্লক’। ওটা বানিয়েছিল ব্যাবিলনীয়রা, খ্রিস্টের জন্মের হাজার দেড়েক বছর আগে। এখন, এই সূর্যঘড়িগুলোতে সময় দেখা হতো সূর্যের ছায়া দেখে। অর্থাৎ সময়-নির্দেশক যে কাঁটা বা দণ্ড, সেটা স্থির থাকত। সূর্যের আলোয় সে কাঁটার ছায়ার পরিবর্তন দেখেই সময় হিসাব করা হতো। আর এখনকার ঘড়িতে আবার উল্টো, এই কাঁটাগুলোই ঘুরে ঘুরে সময় জানান দেয়। ছায়া দেখার কোনো বালাই নেই। এই রকম ঘড়ি, মানে যেই ঘড়িতে কাঁটা ঘুরে ঘুরে সময় জানান দ

তাস সম্পর্কে অজানা যতো তথ্য......

ছবি
তাস খেলতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। ব্রিজ, ব্রে, টোয়েন্টি নাইন, তবে আর যাই হোক রংমিলন্তি অন্তত খেলতে পারেন প্রত্যেকেই। সলিটেয়ার এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তম কম্পিউটার গেমগুলির মধ্য একটি। তা ছাড়া, তাসের সাংস্কৃতিক গুরুত্বও কম নয় মানব সভ্যতায়। প্রবাদ-প্রবচন, জোকস, ম্যাজিক— কোথায় না ছড়িয়ে রয়েছে তাস! তাস-সংক্রান্ত এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা এখন পর্যন্ত অতিদক্ষ তাস-খেলুড়েরাও জানে না পারেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক কিছু তথ্য......... • তাসের উদ্ভব প্রাচ্যদেশে। ১২শতক নাগাদ এই খেলার প্রচলন হয় বলে জানা যায়। • প্রাচীন চিনে হাড় বা হাতির দাঁতের তাসের প্রচলন ছিল। • স্পেড-এর টেক্কাটিকে অন্যরকম দেখতে কেন? ফ্রান্স এক সময়ে তাস খেলা এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, স্পেড-এর টেক্কার উপরে কর বসিয়ে বিপুল আয় করতে থাকে ফরাসি সরকার। তাই তাকে আলাদা করে চিহ্নিত করার প্রয়োজন ছিল। এখন তাস-প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এই বিশেষ তাসটিতে তাদের সংস্থার তথ্য ছাপে। • তাসের মাত্র দু’টি রং। লাল আর কালো। তারা নাকি দিন ও রাত্রির প্রতীক। • তাসের চারটি স্যুট নাকি ফোর সিজনস-এর

ঘড়ি কী করে এল???

ছবি
সময়ের জন্ম ঠিক কবে? এই প্রশ্নের উত্তর বোধকরি কারোই জানা নেই। তবে সৃষ্টির আদি থেকেই মানুষ যে সময়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই এগিয়ে নিয়েছে তার সভ্যতা আর ইতিহাস একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আর সময়ের হাত ধরে মানুষের এই এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী হতেই কালে কালে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে সময় দেখার যন্ত্র তথা ঘড়ি। একটা সময় ছিল, যখন সূর্যের অবস্থান দেখেই মানুষ ধারণা লাভ করত সময় সম্পর্কে। এমনকি মানুষের তৈরি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়িতেও কাজে লাগানো হয়েছিল সূর্যের সময় ভিত্তিক অবস্থানের এই সূত্রকেই। আজ থেকে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে উত্পত্তি হয় সূর্যঘড়ির। গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর; এ নিয়েই সূর্যঘড়ি। খ্রিস্টপূর্ব ষোড়শ শতকে মিসরে উত্পত্তি হয় পানিঘড়ির। বালিঘড়ির মতো করে কাজ করা এই ঘড়িটির নাম রাখা হয় ক্লেপসাড্রা। একটি বড় পাত্র থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় একটি ছোট পাত্রে পানি পড়ার মাধ্যমেই এগিয়ে চলে সময়ের কাঁটা। নিচের ছোট পাত্রের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটি খাঁজযুক্ত দণ্ড। ওটাই একটু একটু করে ঘোরাতে থাকে সময়ের গিয়ার। পানিঘড

সাপ-লুডূ খেলা কীভাবে এলো???

ছবি
এই খেলা খেলেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাপলুডো আজ এই ডিজিটাল যুগেও তার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। কিন্তু এই খেলার মধ্যে যে এক গভীর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, সে কথা আমরা অনেকেই জানি না। এই খেলা আদ্যন্ত এক আধ্যাত্মিক খেলা? সব থেকে বিস্ময় জাগে যখন জানা যায়, সাপলুডোর উৎস ভারতেই। এবং এর উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের মোক্ষ সম্পর্কে সচেতন করা। দেখা  যাক এই খেলার রহস্য— • সাপলুডোর আদি ভারতীয় নাম ‘মোক্ষপট’। প্রাচীন ভারতে এর জন্ম। কিন্তু ১৯ শতকের শেষদিকে ইংরেজরা এই খেলাকে নিজেদের ছাঁচে ঢালাই করে। • সাপলুডো আসলে মোক্ষের রাস্তা বাতলায়। এখানে ছক্কার দানকে ‘কর্ম’ হিসেবে ধরতে হয়। • সাপ আসলে পাপের প্রতীক। তার মুখে পড়লে পতন অনিবার্য। প্রাচীন  ভারতীয় মোক্ষপট... • অবশ্যম্ভাবী ভাবে মইগুলি পুণ্যকর্মকে বোঝায়। তাতে চড়লে মোক্ষের পথ সহজ হয়। • বার বার সাপ ও মইতে ওঠা-নামা জন্মান্তরচক্রের কথা বলে। কর্মফল অনুযায়ী উত্থান অথবা পতন নির্ধারিত হয়। • ছকের চূড়ান্ত স্তরে রয়েছে মোক্ষ। সেই ঘরের নম্বর ১০০। এটা পূর্ণতার প্রতীক, সমগ্রের প্রতীক। এখানে পৌঁছতে পারলে