পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেন ইঁদুর ব্যবহার করা হয়???

ছবি
মানুষের কোন সমস্যা বিশেষ করে শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য মানুষ বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে। মানুষ বৈজ্ঞানিক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিজের প্রশ্নের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করে। জৈব পরীক্ষার জন্য জীবিত প্রাণী প্রয়োজন হয়। আর এই পরীক্ষার আশানুরূপ ফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত ‘সাবজেক্ট’ হিসেবে কাজ করতে পারে এমন কোন জীবন্ত প্রাণীকেই পছন্দ করা হয়। বৈজ্ঞানিক এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোন মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলার জন্য রাজী করানোটা খুব কঠিন। কিন্তু মানুষের পরিবর্তে কোন প্রাণীকে নেয়া যায়? হাঁ আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন, সেই প্রাণীটি হল ইঁদুর। আপনি কি কখনো চিন্তা করে দেখেছেন যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কেন ইঁদুরকেই পছন্দ করা হয়? কারণ গুলো জেনে নেই আসুন। ১। যৌক্তিক কারণ ইঁদুর ছোট প্রাণী। এদেরকে খুব সহজেই পরিচালনা ও পরিবহণ করা যায় এবং পরীক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করে। কল্পনা করে দেখুন একটি জিরাফ বা একটি হাতিকে ইনজেকশন দেয়ার কথা। সম্ভবত এটা খুব একটা সহজ হবেনা ক্ষুদ্র ইঁদুরের তুলনায়। এছাড়া ইঁদুর তুলনামূলক ভাবে নিরীহ প্রাণী। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় প্রাণীটিকে বিভ

ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরে কেন?????

ছবি
টিকটিক শব্দ করে ঘোরে ঘড়ির কাঁটা। কোনদিকে ঘোরে, আমরা তো সবাই দেখি—ডান দিকে! কিন্তু কখনো কি ভাবনায় এসেছে, কেন ডান দিকেই ঘোরে? বাঁ দিকে ঘুরলেই বা কী এমন সমস্যা? যদি নাই হয়, তাহলে ঠিক কী কারণে ঘড়ির কাঁটা কেবল ডান দিকেই ঘোরে? সবচেয়ে প্রাচীন যে ঘড়িগুলো, সেগুলোতে কিন্তু কাঁটার ঘোরাঘুরির কোনো বিষয় ছিল না। হ্যাঁ, সূর্যঘড়িই হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘড়ি। এই সূর্যঘড়িও কিন্তু অনেক রকমের ছিল। সবচেয়ে প্রাচীন সূর্যঘড়ি বলা হয় মিসরীয়দের ওবেলিস্ককে। ধারণা করা হয়, মিসরীয়রা এই ঘড়ি বানানো শিখেছিল খ্রিস্টের জন্মেরও সাড়ে তিন হাজার বছর আগে। এ রকম আরেকটা ঘড়িকে বলা হয় ‘শ্যাডো ক্লক’। ওটা বানিয়েছিল ব্যাবিলনীয়রা, খ্রিস্টের জন্মের হাজার দেড়েক বছর আগে। এখন, এই সূর্যঘড়িগুলোতে সময় দেখা হতো সূর্যের ছায়া দেখে। অর্থাৎ সময়-নির্দেশক যে কাঁটা বা দণ্ড, সেটা স্থির থাকত। সূর্যের আলোয় সে কাঁটার ছায়ার পরিবর্তন দেখেই সময় হিসাব করা হতো। আর এখনকার ঘড়িতে আবার উল্টো, এই কাঁটাগুলোই ঘুরে ঘুরে সময় জানান দেয়। ছায়া দেখার কোনো বালাই নেই। এই রকম ঘড়ি, মানে যেই ঘড়িতে কাঁটা ঘুরে ঘুরে সময় জানান দ

তাস সম্পর্কে অজানা যতো তথ্য......

ছবি
তাস খেলতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। ব্রিজ, ব্রে, টোয়েন্টি নাইন, তবে আর যাই হোক রংমিলন্তি অন্তত খেলতে পারেন প্রত্যেকেই। সলিটেয়ার এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তম কম্পিউটার গেমগুলির মধ্য একটি। তা ছাড়া, তাসের সাংস্কৃতিক গুরুত্বও কম নয় মানব সভ্যতায়। প্রবাদ-প্রবচন, জোকস, ম্যাজিক— কোথায় না ছড়িয়ে রয়েছে তাস! তাস-সংক্রান্ত এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা এখন পর্যন্ত অতিদক্ষ তাস-খেলুড়েরাও জানে না পারেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক কিছু তথ্য......... • তাসের উদ্ভব প্রাচ্যদেশে। ১২শতক নাগাদ এই খেলার প্রচলন হয় বলে জানা যায়। • প্রাচীন চিনে হাড় বা হাতির দাঁতের তাসের প্রচলন ছিল। • স্পেড-এর টেক্কাটিকে অন্যরকম দেখতে কেন? ফ্রান্স এক সময়ে তাস খেলা এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, স্পেড-এর টেক্কার উপরে কর বসিয়ে বিপুল আয় করতে থাকে ফরাসি সরকার। তাই তাকে আলাদা করে চিহ্নিত করার প্রয়োজন ছিল। এখন তাস-প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এই বিশেষ তাসটিতে তাদের সংস্থার তথ্য ছাপে। • তাসের মাত্র দু’টি রং। লাল আর কালো। তারা নাকি দিন ও রাত্রির প্রতীক। • তাসের চারটি স্যুট নাকি ফোর সিজনস-এর

ঘড়ি কী করে এল???

ছবি
সময়ের জন্ম ঠিক কবে? এই প্রশ্নের উত্তর বোধকরি কারোই জানা নেই। তবে সৃষ্টির আদি থেকেই মানুষ যে সময়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেই এগিয়ে নিয়েছে তার সভ্যতা আর ইতিহাস একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আর সময়ের হাত ধরে মানুষের এই এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গী হতেই কালে কালে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে সময় দেখার যন্ত্র তথা ঘড়ি। একটা সময় ছিল, যখন সূর্যের অবস্থান দেখেই মানুষ ধারণা লাভ করত সময় সম্পর্কে। এমনকি মানুষের তৈরি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়িতেও কাজে লাগানো হয়েছিল সূর্যের সময় ভিত্তিক অবস্থানের এই সূত্রকেই। আজ থেকে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে উত্পত্তি হয় সূর্যঘড়ির। গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর; এ নিয়েই সূর্যঘড়ি। খ্রিস্টপূর্ব ষোড়শ শতকে মিসরে উত্পত্তি হয় পানিঘড়ির। বালিঘড়ির মতো করে কাজ করা এই ঘড়িটির নাম রাখা হয় ক্লেপসাড্রা। একটি বড় পাত্র থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় একটি ছোট পাত্রে পানি পড়ার মাধ্যমেই এগিয়ে চলে সময়ের কাঁটা। নিচের ছোট পাত্রের সঙ্গে জুড়ে থাকে একটি খাঁজযুক্ত দণ্ড। ওটাই একটু একটু করে ঘোরাতে থাকে সময়ের গিয়ার। পানিঘড

সাপ-লুডূ খেলা কীভাবে এলো???

ছবি
এই খেলা খেলেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাপলুডো আজ এই ডিজিটাল যুগেও তার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। কিন্তু এই খেলার মধ্যে যে এক গভীর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, সে কথা আমরা অনেকেই জানি না। এই খেলা আদ্যন্ত এক আধ্যাত্মিক খেলা? সব থেকে বিস্ময় জাগে যখন জানা যায়, সাপলুডোর উৎস ভারতেই। এবং এর উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের মোক্ষ সম্পর্কে সচেতন করা। দেখা  যাক এই খেলার রহস্য— • সাপলুডোর আদি ভারতীয় নাম ‘মোক্ষপট’। প্রাচীন ভারতে এর জন্ম। কিন্তু ১৯ শতকের শেষদিকে ইংরেজরা এই খেলাকে নিজেদের ছাঁচে ঢালাই করে। • সাপলুডো আসলে মোক্ষের রাস্তা বাতলায়। এখানে ছক্কার দানকে ‘কর্ম’ হিসেবে ধরতে হয়। • সাপ আসলে পাপের প্রতীক। তার মুখে পড়লে পতন অনিবার্য। প্রাচীন  ভারতীয় মোক্ষপট... • অবশ্যম্ভাবী ভাবে মইগুলি পুণ্যকর্মকে বোঝায়। তাতে চড়লে মোক্ষের পথ সহজ হয়। • বার বার সাপ ও মইতে ওঠা-নামা জন্মান্তরচক্রের কথা বলে। কর্মফল অনুযায়ী উত্থান অথবা পতন নির্ধারিত হয়। • ছকের চূড়ান্ত স্তরে রয়েছে মোক্ষ। সেই ঘরের নম্বর ১০০। এটা পূর্ণতার প্রতীক, সমগ্রের প্রতীক। এখানে পৌঁছতে পারলে

গড়ে একজন স্বাভাবিক মানুষের দেহের ২৪ ঘন্টার কার্যক্রম...

ছবি
►► হৃদপিন্ড ১,০৩,৬৮৯ বার স্পন্দিত হয়। ►► ফুসফুস ২৩,০৪৫ বার শ্বাসপ্রশ্বাসিত করে। ►► রক্ত ১৬,৮০,০০০ মাইল প্রবাহিত হয়। ►► নখ ০.০০০০৭ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়। ►► চুল ০.০৫ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়। ►► ২.৯ পাউন্ড পানি/তরল গ্রহন করে (সকল প্রকার তরল মিলিয়ে)। ►► ৩.২৫ পাউন্ড খাদ্য গ্রহন করে। ►► শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস গ্রহন করে। ►► ২৪ ঘণ্টায় ছেলেরা গড়ে ২০০০ শব্দ এবং মেয়েরা গড়ে ৫০০০ শব্দ ব্যবহার করে থাকে। ►► ঘুমের মধ্যে ২৫-২৬ বার নড়াচড়া করে।

টেলিভিশনে দেখা রেসলিং কি আসল নাকি নকল অভিনয়???

ছবি
টেলিভিশন কিংবা ইন্টারনেটে রেসলিং দেখেননি এমন খুব কম লোকই আছে! অনেকের কাছেই এটি জনপ্রিয় প্রোগ্রাম। কিন্তু ম্যাজিকের মতই সারা বিশ্বে রেসলিং এর রহস্য সবার অজানা। গত কয়েক দশক ধরে চলা জনপ্রিয় এই রেসলিং কে নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা রকম জল্পনা কল্পনা। রেসলিং এ এত আঘাতের পরেও মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকে এটা নিয়েও সবার মনে রয়েছে নানা সন্দেহ। আর যারা এই রেসলিং এর সাথে জড়িত তারা কখনই এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেন না। রেসলিং সম্বন্ধে জেনে নিন অজানা কিছু তথ্য। রেসলিং কি আসলেই নকল? . . হ্যা, রেসলিং একটি অসাধারণ মঞ্চ নাটক ছাড়া আর কিছুই না। তবে সাধারণ মঞ্চ নাটকের সাথে এর পার্থক্য হল মঞ্চে রেসলারদের ভুল গুলো সহজেই চোখে পরে আর রেসলিং সারা বিশ্বের মানুষ নানা প্রান্ত থেকে উপভোগ করে। যেখানে বড় বড় তারকা রেসলাররা লড়াইয়ে জিতে বেশি আয় করে সেখানে কেন একজন রেসলার হেরে যায়? এটার কারণও খুব স্বাভাবিক। মঞ্চ নাটকের মত এটারও একটা স্ক্রিপ্ট থাকে যাতে বিভিন্ন অভিনেতারা বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করে থাকে। যদি একজন রেসলার নিজে জিততে চায় তাহলে সে শীঘ্রই তার চাকরি হারাবে। রেসলাররা কি স

টেলিফোনে বলা ‘হ্যালো’(HELLO) শব্দটি কিভাবে এলো??

ছবি
টেলিফোন আবিষ্কারের কথা আমরা অনেকেই জানি। এ এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। বিভিন্ন পথপরিক্রমায় আজকের মোবাইল ফোন। আর এর পথপ্রদর্শক টেলিফোন। আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল স্কটল্যান্ডের এডেনবার্গে ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯২২ সালের ২ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। জীবদ্দশায় তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তার প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। যা মানব কল্যাণের ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবে। এর মধ্যে টেলিফোন অন্যতম।  গ্রাহাম বেলের মা এবং স্ত্রী দুজনেই ছিলেন বধির। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি শ্রবণশক্তি সম্পর্কিত ডিভাইস নিয়ে কাজ করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি টেলিফোন অবিষ্কার করেন। আজকাল আমরা রিসিভার তুলেই ‘হ্যালো’ বলে সম্বোধন করি অপরপ্রান্তে থাকা বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধুদের সঙ্গে। এই ‘হ্যালো’ শব্দটি কেন বলি বা এর উৎপত্তি কোথায় বা কখন থেকে কীভাবে হ্যালো বলা শুরু তা হয়তো আমরা অনেকেরই জানা নেই। ‘হ্যালো’ একটি মেয়ের নাম, পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো (Margaret Hello)। তিনি ছিলেন আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের (Alaxander Graham Bell) গার্লফ্রেন্ড। গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে তিনি প্রথম য

পানি পচনশীল নয়, কিন্তু বোতলে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ থাকে কেন?

ছবি
পানি পচনশীল নয়, বা নষ্টও হয় না। তাহলে মিনেরাল ওয়াটার অথবা প্যাকেজড ড্রিংকিং ওযাটারের বোতলের গায়ে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ বা ‘বেস্ট বিফোর ডেট’ লেখা থাকে কেন?  কারণ যে প্লাস্টিকের বোতলের মধ্যে পানি ভরা থাকে, সেই প্লাস্টিক থেকে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে পানির মধ্যে নানারকমের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। বোতলবন্দি জলে একটানা সূর্যের আলো পড়লে প্লাস্টিক থেকে পানির মধ্যে রাসায়নিক উপাদান জলের মধ্যে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিসফেনল-এ বা বিপিএ-র মতো এই রাসায়নিক উপাদানগুলি শরীরে গেলে ব্রেস্ট ক্যানসার, পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া, হৃদরোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।  শুধু তাই নয়, প্লাস্টিক থেকে জলের মধ্যে গন্ধ, ব্যাকটেরিয়া মিশে যাওয়ার, এমন কী জলের স্বাদও বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে মিনেরাল ওয়াটারের বোতল সঙ্গে থাকলে সেটিকে রোদ থেকে এড়িয়ে কোনও ঠাণ্ডা জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন। মিনারেল ওয়াটার অথবা ঠান্ডা পানীয়ের বোতল যদি পরবর্তীকালে পানির বোতল হিসেবে ব্যবহার করেন, তাহলে ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি তা জল রাখার জন্য

আইডিয়া বুঝাতে ছবিতে বাল্ব ব্যবহার করা হয় কেন???

ছবি
ধরুন আপনার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে।আর তা ছবিতে বুঝানোর জন্য বাল্ব ব্যবহার করা হলো। আপনি অবশ্যই বলতে পারেন বাল্ব কেনো অন্য কিছুও তো ব্যবহার করা যেতো। কিন্তু বিজ্ঞানের ভাষ্য আলাদা, সব কিছুর পিছনেই একটা না একটা কারন আছেই। যেমন কারন আছে আইডিয়া বুঝাতে ছবিতে বাল্ব ব্যবহার করার। আইডিয়া এসেছে বোঝাতে একটি বাল্বই যথেষ্ট। মাথার ঠিক কাছে জ্বলন্ত বাল্ব রাখা মানেই মাথায় প্রয়োজনীয় বুদ্ধিটা এসে গিয়েছে। কিন্তু কেন আচমকা এতকিছু থাকতে বাল্বকেই বেছে নেওয়া হলো? যুক্তি প্রধানত দুটি। # প্রথমত , স্রেফ একটি সুইচ চাপলেই অন্ধকার কেটে চট করে যেমন আলো চলে আসে, সব অন্ধকার দূর হয়ে যায়, তেমনই চট করে মাথায় বুদ্ধি চলে এলে যাবতীয় ধোঁয়াশা কেটে যায়। যেমন- গোয়েন্দার বই বা ছবিগুলোতে আমরা দেখি যে, গোয়েন্দারা যখন কোন রহস্য ভেদ করার জন্য চিন্তা করে, তখন হঠাৎই তাদের মাথায় রহস্য সমাধানের আইডিয়া আসে এবং সেটা সমাধান করে ফেলে। ঠিক সেভাবেই কোনো বুদ্ধি আসা এবং বাল্বের জ্বলে ওঠার সামঞ্জস্যপূর্ণ। # দ্বিতীয়  কারণটি অবশ্য একেবারেই বিজ্ঞানপ্রসূত। বলা হয়, জেগে থাকার সময়ে মানুষের মস্তিষ্ক যে পর

কোথা থেকে এসেছে ‘ok’ শব্দটি............

ছবি
সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহার করা হয় ‘ok’ শব্দটি। সামনাসামনি কথা বলার সময়ই নয়, ফোনে কথা বলার সময়, মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপেও সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহার করে থাকে এই শব্দটি। গত দুই শতাব্দী ধরে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দ ‘ওকে’ (ok) । গত ২৩ মার্চ ছিল ‘ওকে’-এর ১৭৭ বছরের জন্মদিন। কোথা থেকে জন্ম হলো এই শব্দের? ১৮৩৯ সালে দুই সংবাদপত্র বস্টন মর্নিং পোস্ট ও প্রভিডেন্স জার্নালের মধ্যে ছিল তুমুল বিরোধিতা। পরে সেই সমস্যা মিটে। সেই বার্তা বোঝাতে ছাপার অক্ষরে ব্যবহার করা হয়েছিল এই ‘ওকে’ শব্দ। বানানটি ছিল ‘okay’ । অর্থ- অল কারেক্ট। অর্থাৎ সব ঠিক আছে। এই শব্দই ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। তবে জনপ্রিয়তা বাড়লেও বানান এবং অর্থ ধরে রাখতে পারেনি "okay" । ধীরে ধীরে বানান দাঁড়ায় ok। ‘আচ্ছা’ বা ‘ঠিক আছে’ বোঝাতেই এখন ব্যবহৃত হয় এই শব্দটি।

মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর বিচারকরা যে কারণে কলমের নিব ভেঙে ফেলেন.........

ছবি
এ কথা অজানা নয় যে, মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে বিচারক বা বিচারপতিরা পেনের নিব ভেঙে ফেলেন। সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে। কিন্তু কেন? কারণ একটি নয়, একাধিক। # প্রথমত , এটি একটি প্রতীকী বি‌ষয়। ব্যাখ্যা হলো, যে কলম একজনের জীবন নিয়ে নিয়েছে, তা যেন আর কারও জীবন নিতে না-পারে। # দ্বিতীয়  ব্যাখ্যাটি এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত। বলা হয়, বিচারক বা বিচারপতি ওই মৃত্যুদণ্ড এবং তা থেকে প্রসূত অপরাধবোধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। সে কারণেই নিবটি ভেঙে ফেলেন। একজন বিচারক বা বিচারপতি তাঁর দেওয়া মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারেন না। # তৃতীয়  ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, তিনি যাতে কোনভাবেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে না পারেন। শেষ ব্যাখ্যা, সব মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কখনও মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই কলমের নিব ভেঙে ফেলা হয় এটা বোঝাতে যে, মৃত্যুদণ্ড দুঃখজনক ব্যাপার।

বিমানের জানালা গোলাকার হয় কেন???

ছবি
আমরা যারা বিমানে ভ্রমণ করে থাকি- জানি কি কেন বিমানের জানালা গোলাকার হয়ে থাকে। এমন প্রশ্ন হয়তো এর আগে কেউ করেননি। তবে বিমানের আকার নিয়ে বহুকাল থেকেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে আসছে। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বারবার বদলাতে হয়েছে বিমানের গঠন। বিমানের জানালা ছিল চার কোণা। ১৯৫৩ সালে দু’টি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ৫৬ জন যাত্রী। এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। ইঞ্জিনিয়াররা বুঝতে পারেন যে, দুর্ঘটনার আসল কারন ছিল বিমানের জানালা। তাদের ধারণা, চার কোণা জানালার ৪টি কোণ থাকায় বায়ুর চাপ অনেক বেশি হয়। জানালার উপরে সমানভাবে বায়ু চাপ দেয় না। কোণগুলোতেই চাপ বেশি থাকে। ফলে জানালা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। এতে ঘটতে পারে বিমান দুর্ঘটনা। জানালা গোলাকার হলে জানালার উপরে বায়ুর চাপ সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জানালা ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম। আর এর পর থেকেই বিমানের জানালার গঠন গোলাকৃতি ভাবে তৈরি হচ্ছে।

কীভাবে এল টাই???

ছবি
টাই বা গলাবন্ধনী ছাড়া যেন করপোরেট দুনিয়া কল্পনা করাই দায়। কিন্তু এই টাই এল কীভাবে??? ১৯৭৪ সালে চীনের জিয়ানে পোড়ামাটির কিছু ভাস্কর্য খুঁজে পেলে টাইয়ের নতুন এক ইতিহাস উন্মোচিত হয়। সেই ভাস্কর্য ছিল চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং এবং তাঁর সৈন্যদের। মূর্তিগুলোর পরনে ছিল ইউনিফর্ম আর গলাবন্ধনী। তবে সেই গলাবন্ধনী ঠিক আজকালকার টাইয়ের মতো নয়; অনেকটা মাফলারের মতো। একদল গবেষক ধারণা করেন, চীনেই খ্রিষ্টপূর্ব ২১০ শতকের দিকে টাইয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। গলাবন্ধনীর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে ১৬৫০সালে। তখন ক্রোয়েশিয়ার মানুষেরা টাইয়ের আদলে স্কার্ফ ব্যবহার করত। যা ছিল তাদের সেনাবাহিনীর সদস্যদের পোশাকের একটি অংশ। গলাবন্ধনীকে ক্রোয়েশীয় ভাষায় বলা হতো ‘ক্রাভাট’। ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের আমলে এই ‘ক্রাভাট’ ব্যবহৃত হতো তাঁর আদালতে। ১৮১৫ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের আমলে প্রথমবার ক্রাভাটের বদলে টাই নাম ব্যবহার করা হয়। শিল্পবিপ্লবের সময় ইউরোপজুড়েই টাইয়ের প্রচলন শুরু হতে থাকে। আর যুক্তরাজ্যে সকলের পোশাকের সঙ্গে ‘এস্কট টাই’ একটি মানে রূপ নেয় ১৮৮০ সালে। ১৯২