কীভাবে এল টাই???




টাই বা গলাবন্ধনী ছাড়া যেন করপোরেট দুনিয়া কল্পনা করাই দায়। কিন্তু এই টাই এল কীভাবে???


১৯৭৪ সালে চীনের জিয়ানে পোড়ামাটির কিছু ভাস্কর্য খুঁজে পেলে টাইয়ের নতুন এক ইতিহাস উন্মোচিত হয়। সেই ভাস্কর্য ছিল চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং এবং তাঁর সৈন্যদের।


মূর্তিগুলোর পরনে ছিল ইউনিফর্ম আর গলাবন্ধনী। তবে সেই গলাবন্ধনী ঠিক আজকালকার টাইয়ের মতো নয়; অনেকটা মাফলারের মতো। একদল গবেষক ধারণা করেন, চীনেই খ্রিষ্টপূর্ব ২১০ শতকের দিকে টাইয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।

গলাবন্ধনীর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে ১৬৫০সালে। তখন ক্রোয়েশিয়ার মানুষেরা টাইয়ের আদলে স্কার্ফ ব্যবহার করত।


যা ছিল তাদের সেনাবাহিনীর সদস্যদের পোশাকের একটি অংশ। গলাবন্ধনীকে ক্রোয়েশীয় ভাষায় বলা হতো ‘ক্রাভাট’।


ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের আমলে এই ‘ক্রাভাট’ ব্যবহৃত হতো তাঁর আদালতে। ১৮১৫ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের আমলে প্রথমবার ক্রাভাটের বদলে টাই নাম ব্যবহার করা হয়।

শিল্পবিপ্লবের সময় ইউরোপজুড়েই টাইয়ের প্রচলন শুরু হতে থাকে। আর যুক্তরাজ্যে সকলের পোশাকের সঙ্গে ‘এস্কট টাই’ একটি মানে রূপ নেয় ১৮৮০ সালে।
১৯২০ সালে জেসি ল্যাংসডোর্ফ নামে নিউইয়র্কের একজন দরজি টাইয়ের একটি পরিপূর্ণ রূপ দেন। তিনিই নিজের নামে টাইয়ের ডিজাইন প্যাটেন্ট করিয়ে রাখেন।

বর্তমানে যেসব স্টাইলিশ টাই দেখা যাচ্ছে, সেগুলো মূলত ল্যাংসডোর্ফের টাইয়ের নকশার অনুকরণেই তৈরি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরে কেন?????

স্বপ্ন নিয়ে জানা অজানা যত তথ্য

ঘড়ি কী করে এল???